অন্যের বউ কে কেন বেশি সুন্দর লাগে
কেন অন্য মহিলাদের নিজের স্ত্রীদের চেয়ে বেশি সুন্দরী মনে হয়?
একজন বিজ্ঞ আলেমের কাছে একলোক এসে অপরাধীর কণ্ঠে বলতে লাগলো, হুজুর! আমার স্ত্রীকে বিয়ে করার আগে সর্বপ্রথম যখন দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিলো আমার স্ত্রীর চেয়ে সুন্দর করে মহান আল্লাহ পৃথিবীতে আর কাউকে সৃষ্টি করেননি। যখন আমার স্ত্রীর কাছে আমি বিয়ের প্রস্তাব পাঠালাম এবং সে প্রস্তাব কবুল করলো, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হলো, তখন আমি দেখতে পেলাম আমার স্ত্রীর মত সুন্দরী অনেক মহিলা পৃথিবীতে আছে। আর যখন আমার স্ত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তুললাম, দেখতে পেলাম অনেক মহিলা আমার স্ত্রীর চেয়েও অতিরিক্ত সুন্দরী। বিয়ের পর যখন কয়েক বছর কেটে গেলো, আমার মনে হলো প্রতিটি মহিলা আমার স্ত্রীর চেয়ে অনেক বেশি সুন্দরী।
হুজুর উত্তরে বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়েও মারাত্মক একটি বিষয় বলবো? লোকটি বললো, হ্যাঁ হ্যাঁ বলুন।
হুজুর বলতে লাগলেন, তুমি যদি পৃথিবীর সব মহিলাকে বিয়ে করে ফেলো, তখন পৃথিবীর সব মহিলার চেয়ে পথের নেড়ি-কুত্তাগুলো কে তোমার বেশি সুন্দরী মনে হবে। লোকটি অধীর আগ্রহে জানতে চাইলো, কিন্তু হুজুর কেন এমনটা মনে হবে? সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে?
হুজুর ব্যাখ্যা করে বলতে লাগলেন, শোনো। সমস্যাটা তোমার স্ত্রীর মধ্যে নয়। সমস্যাটা হলো, মানুষের অন্তর যখন নষ্ট হয়ে যায় এবং চোখগুলো লালসায় ভরে যায়, আল্লাহর ডর- ভয়, লাজ- শরমও যখন মানুষের চলে যায়, তখন তার চোখগুলো কবরের মাটি ছাড়া আর কিছুতেই ভরে না। আর তোমার সমস্যাটা হচ্ছে, তুমি হারাম এবং অপবিত্র বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকো না। আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। দেখবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
হুজুর ব্যাখ্যা করে বলতে লাগলেন, শোনো। সমস্যাটা তোমার স্ত্রীর মধ্যে নয়। সমস্যাটা হলো, মানুষের অন্তর যখন নষ্ট হয়ে যায় এবং চোখগুলো লালসায় ভরে যায়, আল্লাহর ডর- ভয়, লাজ- শরমও যখন মানুষের চলে যায়, তখন তার চোখগুলো কবরের মাটি ছাড়া আর কিছুতেই ভরে না। আর তোমার সমস্যাটা হচ্ছে, তুমি হারাম এবং অপবিত্র বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকো না। আল্লাহকে ভয় করতে থাকো। দেখবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন